Image Slider By helperblogger.com The slide is a linking image Pure Javascript. No jQuery. No flash. #htmlcaption

ইন্টারনেটে ঘরে বসে কি সত্যি টাকা কামানো যায়?

ইন্টারনেটে ঘরে বসে কি সত্যি টাকা কামানো যায়? –এই নিয়ে সন্দেহ আর বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছেন অনেকেই। অনেকের কাছেই এটা ভুয়া গল্প মাত্র, আবার অনেকেই ভালো ফলও পাচ্ছেন। আর কেউ কেউ আছেন, যাঁরা বিশ্বাস বুকে নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাফল্যের মুখ দেখতে পারছেন না তাঁদের ভুল পদ্ধতি কিংবা ভুয়া পথে হাঁটার জন্যে।একটা ব্যাপার ভাবুন, আপনি যে চাকুরীটা করেন সেখানে আপনাকে সাত-আট ঘণ্টা সময় দিতে হয়। এক্ষেত্রেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। তবে হ্যা, আউটসোর্সিং-এ পথভেদে আপনাকে পরিশ্রম কম-বেশি করতে হতে পারে। চলুন দেখি ইন্টারনেট থেকে টাকা কামানোর কী কী পথ আছে-

১. গুগোল এডসেন্সঃ এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়, আলোচিত এবং অবশ্যই বিশ্বস্ত পদ্ধতি। এক্ষেত্রে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। Google-এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবেন আপনার সাইটে, ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপনের লিংকে ক্লিক করলে আপনি নির্দিষ্ট অংকের টাকা পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার সাইট গুগোল কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
২. ফ্রিল্যান্সঃ এটিই মূলত বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সাইটে নিবন্ধন করে সদস্য হতে হবে। যাঁদের কাজ করিয়ে নেওয়া দরকার তাঁরা এইসব সাইটে কাজের বিজ্ঞাপন দিবেন। সেটি হতে পারে প্রোগ্রামিং বিষয়ক কিছু, বাগ ফিক্সিং, ওয়েব সাইট তৈরি অথবা ব্যক্তিগত সহকারীর কাজ! আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সেখানে আবেদন (বিড) করবেন। কাজদাতা যদি আপনাকে পছন্দ করেন, তাহলে আপনি তাঁর কাজ করে দিয়ে বাজেট অনুযায়ী টাকা পাবেন। এক্ষেত্রে দক্ষতা এবং সততা যথেষ্ট হওয়া উচিৎ।
৩. এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এটি সোজা ভাষায় দালালী। কোনও কোম্পানির এফিলিয়েট মেম্বার হলে তারা আপনাকে একটা লিংক দেবে। সেই লিংক আপনি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করবেন। আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি ওই পন্য কেনে, তাহলে লভ্যাংশ থেকে একটা নির্দিষ্ট অংশ আপনি পাবেন।
৪. পিটিসিঃ আপনাকে কিছু লিংক দেওয়া হবে, আপনি সেই লিংকে ক্লিক করবেন। এটি মূলত বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উল্টো বিষয়। এক্ষেত্রে আপনার ক্লিক থেকে তারা যে লাভ পাচ্ছে, তার একটা ভাগ পাচ্ছেন আপনি।
৫. ডোমেইন-হোস্টিং বিক্রয়ঃ ডোমেইন বিক্রয় এবং হোস্টিং রিসেল করে আপনি ভালো পরিমান একটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৬. ডোমেইন পার্কঃ ধরুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট নেই। আপনি তাঁর নামে একটা ডোমেইন কিনে রাখলেন। তিনি যখন ডোমেইন কিনতে গিয়ে দেখবেন তাঁর নামের ডোমেইন আপনি কিনে রেখেছেন, তখন নিশ্চয়ই সেটি তিনি পেতে চাইবেন। এবার আপনি ঝোপ বুঝে কোপ মারবেন। মাত্র ১০ডলারে কেনা ডোমেইন business.com বিক্রী হয়েছিল ৭ লাখ ডলারে। আর বারাক ওবামার নামের একটি ডোমেইন এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ডলার দাম উঠেছে। (সুত্রঃ আর্নহেল্প) এটি ডোমেইন পার্কিং। ডোমেইন পার্ক করার পদ্ধতি নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে।
৭. আর্টিকেল লেখাঃ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করায় এমন ব্লগের জন্যে আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন আপনি। এটি অনেক ভালো একটি উপায়। ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলেই এই কাজে সাফল্য সম্ভব। প্রতি ৫০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে ২ থেকে ১২ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।
৮. অন্যান্যঃ এছাড়াও ডিজিটাল পন্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। ইবুক লিখে অনেকেই ভালো অংকের টাকা কামাচ্ছেন। কেনা-বেচা করেও আপনি অর্থের মুখ দেখতে পারবেন, কিছু কিনে রাখলেন পরবর্তীতে তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি করে দিবেন। একটা পদ্ধতি হল সার্ভে, বিভিন্ন প্রকার জরীপে অংশ নিতে পারেন আপনি। আরও কিছু পদ্ধতি হয়তো বাদ পরে গেছে, নিজে একটু ভাবুন, জানার চেষ্টা করুন।
পদ্ধতি যেটাই হোক, আপনাকে হতে হবে সৎ, নিষ্ঠাবান আর পরিশ্রমী। নয়তো শেষ পর্যন্ত আপনিও বলে বসবেন ‘ধুর! সব ভুয়া!’। আরেকটা বিষয় হল- আপনাকে অবশ্যই বিশ্বস্ত মাধ্যমে কাজ করতে হবে। কোথাও কাজ করার আগে সেটির বিযয়ে খোঁজখবর নিন।
ভালো থাকুন। দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করুন। সবার জন্যে শুভকামনা।
Share this article :

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. TOWARDS HEAVEN - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger